অন্যায়-পাপ কর্মে আল্লাহর নামে কসম খেলে কসম ভঙ্গ করে কাফফারা দিতে হবে এটাই সত্য । - ইসলামিক আহবান

সর্বশেষ তথ্য

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

Thursday, May 9, 2019

অন্যায়-পাপ কর্মে আল্লাহর নামে কসম খেলে কসম ভঙ্গ করে কাফফারা দিতে হবে এটাই সত্য ।

অন্যায়-পাপ কর্মে আল্লাহর নামে কসম খেলে কসম ভঙ্গ করলে কাফফারা দেয়া আবশ্যক !

প্রশ্ন: কাজের মেয়েরা সারাক্ষণ স্টার জলসা ইত্যাদি চ্যানেলগুলো দেখতেই থাকে। কেউ যদি প্রচণ্ড রাগের মাথায় বলে ফেলে, ‘আল্লাহর কসম,  এই কাজ  আবার করলে আমি  তোকে ..............করবো..?
তাহলে  কি হবে ???
             জেনে নিন আপনার জন্য এই  পোষ্ট টি 

উত্তরঃ
এটি নি:সন্দেহে হারাম বিষয়ের উপর কসম করা হয়েছে। কারণ ইসলামে কারো অঙ্গহানী বা ক্ষয়-ক্ষতি করা অথবা কোন অন্যায়-পাপাচার কাজের জন্য কসম করা হারাম। কেউ এমন কসম করলে তা পুরণ করা বৈধ নয়। এ ক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করা জরুরি। তবে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে। কেননা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

              ( لأَنْ يَلَجَّ أَحَدُكُمْ فِي يَمِينِهِ فِي أَهْلِهِ آثَمُ لَهُ عِنْدَ اللهِ تَعَالَى مِنْ أَنْ يُعْطِي كَفَّارَتَهُ الَّتي فَرَضَ اللهُ عَلَيْهِ   )

‘যে ব্যক্তি আপন পরিবার পরিজনের ব্যাপারে কসম খায় ও [তার চেয়ে উত্তম অন্য কিছুতে জেনেও] তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহর নিকট এই কর্মটি বেশি গোনাহর কারণ হবে এই কর্ম থেকে যে, সে [কসম ভেঙ্গে] সেই কাফফারা আদায় করবে, যা আল্লাহ তার উপর ফরয করেছেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)


কসম ভঙ্গের কাফফারা:
কেউ যদি আল্লাহর নামে কোন কিছু করার কসম করে কিন্তু পরে কসম ভঙ্গ করে তাহলে ইসলাম এ সুযোগ দিয়েছে যে, সে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করবে। আর তা হল:
🔹 দশজন মিসকিনকে মধ্যম ধরণের খাবার খাবার খাওয়ানো,
🔹 অথবা ১০ জন মিসকিনকে পোশাক দেয়া
🔹 অথবা একজন গোলাম আযাদ করা।
🔸 এ তিনটি কোনটি সম্ভব না হলে তিনটি রোযা রাখা।

আল্লাহ তাআলা বলেন: >===>
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّـهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الْأَيْمَانَ ۖ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ ۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ۚ ذَٰلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ ۚ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ ۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّـهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
“আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।” সূরা মায়িদাহ: ৮৯)
লক্ষ্যণীয় বিষয়:
⚫ কোন ব্যক্তি যদি এমন রাগের অবস্থায় কসম খায় যে, সে সময় তার হিতাহিত জ্ঞান ঠিক ছিল না তাহলে তার জন্য কাফফারার দেয়ার বিধান প্রযোজ্য হবে না। কারণ এ ক্ষেত্রে সে পাগল বা মস্তিস্ক বিকৃত হিসেবে গণ্য হবে। আর পাগল বা মস্তিষ্ক বিকৃত ব্যক্তির কসম গ্রহণযোগ্য নয়।
⚫ ১০জন মিসকিন কে একবেলা তৃপ্ত সহকারে মধ্যম মানের খাবার খাওয়াতে হবে। তবে এর পরিবর্তে খাদ্যদ্রব্য দান করাও দেয়া জায়েয রয়েছে। খাদ্যদ্রব্য দানের পরিমান হল, জন প্রতি অর্ধ সা’ বা প্রায় সোয়া কেজি চাল (প্রধান খাবার)।
খাদ্য খাওয়ানো বা খাদ্যদ্রব্য দানের পরিবর্তে টাকা দেয়া বা অন্য কিছু ক্রয় করে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। কারণ কুরআনে স্পষ্টভাবে খাদ্যের কথা বলা হয়েছে।
⚫ দশজন মিসকিনকে পোশাক দেয়া ক্ষেত্রে কথা হল, এমন পোশাক দিবে যে, তা পড়ে যেন সুন্দরভাবে সালাত আদায় করা যায়। যেমন একটি লুঙ্গি ও একটি জামা বা একটি লম্বা কুর্তা ইত্যাদি।
---------------------------------------------------------------------------------০------------------------------------------------------------------------------

No comments:

Post Top Ad