জাহান্নাম পরিচিতি ও সেখানের অধিবাসী এবং আযাবের বর্ণনা ও তার স্তর - ইসলামিক আহবান

সর্বশেষ তথ্য

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

বিস্তারিত জানতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন

Tuesday, December 3, 2019

জাহান্নাম পরিচিতি ও সেখানের অধিবাসী এবং আযাবের বর্ণনা ও তার স্তর

জাহান্নাম পরিচিতি ও সেখানের অধিবাসী এবং আযাবের বর্ণনা ও তার স্তর

জাহান্নাম পরিচিতি ও সেখানের অধিবাসী এবং আযাবের বর্ণনা ও তার স্তরঃ জাহান্নামের স্তর হবে ৭টিযার ভয়াবহতার বর্ণনা ছিল এরূপ – ধাবমান ৭০-গুণ ক্ষমতাধর, জ্বলন্ত আগুনবিষাক্ত সাপ-বিচ্ছুকণ্টকময় বিষাক্ত জাক্কুম ফলখাবার হিসেবে পুঁজ-রক্তঅদ্ভুদদর্শন কদাকার ভয়াবহ ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামআগুনের মুগুর-কাঁচিঅনন্ত মৃত্যুহীন যন্ত্রণাময় ধারাবাহিক অগ্নিময় দহনীয় শাস্তি ইত্যাদি। দোযখবাসীর দুপায়ের তালুতে অঙ্গার রাখা হবে। সূত্রঃ পবিত্র বুখারী শরীফঃ হাদিস শরীফ ৬১০৭

এবং প্রত্যেকঃ পাপীকে কবরে ৭০টি অজগর সাপ খামচাতে-কামড়াতে থাকবে। সূত্রঃ পবিত্র তিরমিজি শরীফঃ হাদিস শরীফ ২৪০২।

ওদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ১৪:৫০)। আরঃ পবিত্র আল কোরআন অবিশ্বাসের কারণে একজন মানুষকে জাহান্নামে পুড়িয়ে পূঁজ খাওয়ানো হবে’ (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ১৪:১৭)। জাহান্নামী পাবে ফুটন্ত পানি ও পুঁজ’ (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ৭৮:২৬)।

পবিত্র আল কোরআন উল কারিম উনার মধ্যে অবিশ্বাসীদের শাস্তি হিসেবে আগুনের পোশাকমাথায় গরম পানি ঢালা ও লোহার মুগুর দিয়ে পেটানো হবে’ (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ২২:১৯)। 

পবিত্র আল কোরআন উল কারিম উনাকে অবিশ্বাসকারি কেউ মারা গেলে তার প্রতি কোরাআন উল কারিম উনার বাণীঃ ‘‘ধর ওকে। গলায় বেড়ি পড়াও এবং নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। আর শৃঙ্খলিত কর ৭০-গজ দীর্ঘ শৃঙ্খলে। এর খাবার ক্ষত নিঃসৃত পুঁজ’’ (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ৬৯:৩০-৩৫)।  
জাহান্নামে ১টি পাথর ৭০-বছর পড়তে থাকলেও জাহান্নামের তলদেশে পৌঁছতে পারবে নালৌহনির্মিত ডাণ্ডা, ‘সাউদ’ নামে আগুনের পাহাড় যা উঠতে ৭০-বছর ও গড়াতে ৭০-বছর লাগবে,
 অধিবাসীদের দাঁতউরু ও পাছা হবে বিভিন্ন পাহাড়ের সমানশরীরের চামড়া হবে ৪২-গজ পুরুপানীয় হবে গলিত তামার মতো গাদ সদৃশ্যগরম পানিতে নাড়িভূঁড়ি বের হবেগলিত পুঁজ পান করবেযাক্কুম ফল খাদ্য হিসেবে খাবে যা গলায় আটকে যাবেগাধার ন্যায় চিৎকার করবেবিছিয়ে রাখা জিহবা লোকেরা পদদলিত করবেঅধিকাংশ বাসিন্দা হবে নারী (সূত্রঃ পবিত্র তিরমিজি শরীফঃ হাদিস শরীফ ২৫১৩-২৪, ২৬০৩৬)।

মোমিনগন ব্যতীত সবাই জাহান্নামি এমনকি আজীবন পবিত্র নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত শতভাগ পালনকারী ব্যক্তিও জাহান্নামি যদি তার আক্বিদা ঠিক না থাকে অথবা সে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উনার অনুসারী না হয়, আবার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর আক্বিদা পোষণকারি হলেও জাহান্নামি যদি তার মধ্যে কুফরি বদ আক্বিদা থাকে যেমনঃ হারাম কাজে জড়িত থেকে নিজেকে খাটি মুসলিম ভাবে, হারাম কে হালাল মনে করা যেমনঃ ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, টিভি দেখা, 
নারি পুরুষ মিলে গান বাজনা উরুস, মাজারে বসে মদ গাজা খাওয়া, মাজারে সেজদা দেওয়া সহ ভণ্ড বাতিল পিরদের হাক্কানি অলি-আল্লাহ মনেকরা এবং খাটি হোক বা ভণ্ড হোক তাদের তাজিমি সেজদা করা সহ যাবতিও কুফরি আক্বিদা পোষণকারী মুসলিম নামধারী মনাফিক মুসলমানেরা কোরআন সুন্নাহ অনুসারে জাহান্নামি।

গুনাহগার মুসলমানদের পরে খ্রিস্ট ও ইহুদী ধর্মাবলম্বীরা ইসলামের অনেক নিকটে অবস্থান করেকিন্তু হিন্দু ও বৌদ্ধরা ইসলামের ধারেকাছেও নেই। মুসলিমদের পর খ্রিস্টানদের মর্যাদাই সবচেয়ে বেশি। আর এটা নিশ্চয়ই জানেন যে জাহান্নামে রয়েছে ৭টি স্তর। কিন্তু কোন ধর্মাবলম্বীরা কোন স্তরে শাস্তিভোগ করবে তা অনেকেই জানেন না।



No comments:

Post Top Ad